পীত জ্বর কি? কিভাবে হয়? লক্ষণ ও চিকিৎসা

পীত জ্বর কি

পীত জ্বর কি : আপনি জানেন পীত জ্বর কি? পীত জ্বর হলো একটি ভাইরাস ঘটিত (virus ARN) রক্তক্ষরণজনিত মারাত্মক রোগ। আমাদের দেশের কয়েকটি জেলায় এই রোগের উৎপাত।


পীতজ্বর কি বাহিত রোগ : আপনি জানেন পীতজ্বর কি বাহিত রোগ? পীতজ্বর হলো মশা বাহিত রোগ। এডিস মশার কারণে পীতজ্বর হয়।

পীতজ্বর কিভাবে হয় : আপনি জানেন পীতজ্বর কিভাবে হয়? Aedes aegypti প্রজাতি বা এডিস মশার কারণে পীতজ্বর হয়। এই জ্বর প্রথমে সাধারণ জ্বরের মতোন হয়ে থাকে। রক্তের নমুনা নিয়ে পলিমারেজ চেইন রিয়াকশন পরীক্ষা করলে এই রোগের উপস্থিতি বোঝা যায়।

পীত জ্বরের লক্ষণ : আপনি জানেন পীত জ্বরের লক্ষণ গুলো কি কি? নিম্নে পীত জ্বরের লক্ষণ গুলো দেওয়া হলো-

অধিকাংশ ক্ষেত্রে হালকা ইনফেকশান নিয়ে প্রকাশ পায়, জ্বর, মাথাব্যথা, শীতবোধ, পিঠব্যথা, বমিবমি ভাব, খাবারে অরুচি ইত্যাদি সাধারণত তিন-চার দিনের মধ্যেই চলে যায়।

দ্বিতীয় পর্যায়ে শতকরা ১৫ ভাগ ক্ষেত্রে কিছুদ দিনের মধ্যে পুণরায় জ্বর ফিরে আসে এবং লিভার নষ্ট হওয়ার কারণে সাথে থাকে জন্ডিস এবং পেট ব্যথাও থাকে।

তারপর মুখ থেকে, চোখ থেকে এবং পাকস্থলী-খাদ্যনালী থেকে রক্তক্ষরণ হয়। পেটের রক্ত ​​সাধারণত খাবারের সাথে মিশে বমির সাথে বের হয়, ফলে বমির রঙ হয় কালো।

আর পীত জ্বরের প্রধান লক্ষণই হলো কালো বমি

পাকস্থলীর ওপর এই ঔষধটির একশান দারুন, জ্বালাপোড়া, ছুরিমার, কে টে ফেলার মতো ব্যথা, সাংঘাতিক ঢেকুর, হেচকি, দম আটকে আসা, মুখ দিয় আঠালো মিউকাস বের হওয়া, রোগী চুপচাপ থাকতে চায়, মারাত্মক বমিবমি ভাব এবং বমি ইত্যাদি লক্ষণ থাকার কারণে এটি ইয়েলো ফিভারে সাফল্য র সাথে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

রোগ যদি হঠাৎ শুরু হয় এবং শুরু থেকেই মারাত্মকরূপে দেখা দেয় অথবা দুয়েক ঘন্টার মধ্যে সেটি মারাত্মক আকার ধারণ করে, রোগী রোগের যন্ত্রণায় একেবারে অস্থির হয়ে পড়ে, রোগের উৎপতি এত বেশী হয় যে তাতে রোগী মৃত্রুরুর ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে, রোগী ভাবে সে এখনই মরে যাবে।

রোগীর মধ্যে প্রচণ্ড অস্থিরতা (অর্থাৎ রোগী এক জায়গায় বা এক পজিশনে বেশীক্ষণ থাকতে পারে না। এমনকি গভীর ঘুমের মধ্যে ও সে নড়াচড়া করতে থাকে।), শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভীষণ জ্বালা-পোড়া ভাব, অল্প সময়ের মধ্যেই রোগী দুর্বল-কাহিল-নিস্তেজ হয়ে পড়ে, রোগীর বাইরে থাকে ঠান্ডা কিন্তু ভেতরে থাকে জ্বালা- পোড়া, অতিমাত্রায় মৃত্যুভয়, রোগী মনে করে ঔষধ খেয়ে কোন লাভ নেই- তার মৃত্যু নিশ্চিত, গরম পানি খাওয়ার জন্য পাগল কিন্তু খাওয়ার সময় খাবে দুয়েক চুমুক ইত্যাদি লক্ষ ণ থাকলে আর্সেনিক খাওয়াতে হবে।

রোগীর ঠোট-জিহ্বা-গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে থাকে, প্রচুর পানি পিপাসা থাকে, রোগী অনেকক্ষণ পরপর একসাথে প্রচুর ঠান্ডা পানি পান করে, নড়াচড়া করলে রোগীর কষ্ট বৃদ্ধি পায়, রো গীর মেজাজ খুবই বিগড়ে থাকে, কোষ্টকাঠিন্য দেখা দেয় অর্থাৎ পায়খানা শক্ত হয়ে যায়, প্রলাপ বকার সময় তারা সারাদিনের পেশাগত কাজের কথা বলতে থাকে অথবা বিছানা থেকে নেমে বাড়ি যাওয়ার কথা বলে, শিশুদের কোলে নিলে তারা বিরক্ত হয়, মুখে কিছু তিতা লাগে ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে ব্রায়োনিয়া খাওয়াতে হবে।

খাবার পেটের মধ্যে পচে যায় (মানে হজম হয় না), মারাত্মক ইনফেকশান বা সেপট িক অবস্থা, আলসার, রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতিজনিব অবস্তো গ্যাস হয় যে মনে হয় পেট ফেটে যাবে, গ্যাসের কারণ পেটব্যথা, খুব জোরে ফ্যানের বাতাস চায় ইত্যাদি, ইত্যাদি লক্ষণে কার্বো ভেজ প্রযোজ্য।

পানির মতো একেবারে পাতলা রক্তক্ষরণ এবং হলুদ চামড়া এই দুইটি লক্ষণ থাকলে ক্রোটেলাস খাওয়াতে পারেন। ক্রোটেলাস পীতজ্বরের একটি সেরা ঔষধ । আবার ইয়েলো ফিভার থেকে বাঁচার জন্যও (profiláctico) প্রতিষে ধকক্রোটেলাস খেতে পারেন।

আপনার মহল্লায় ইয়েলো ফিভার দেখা দিলে সপ্তাহে এক মাত্রা করে খান, তাহলে আর তাতে আক্রান্ত হবেন না।

এই রোগীরা খুব দ্রুত লম্বা হয়ে যায় এবং এই কারণে হাঁটার সময় সামনের দিকে বেঁকে যায়, অধিকাংশ সময় রক্তশূণ্যতায় ভোগে, রক্তক্ষরণ হয় বেশী, অল্প একটু কেটে গেলেই তা থেকে অনেকক্ষণ রক্ত ​​ঝরতে থাকে, রোগী বরফের মতো কড়া ঠান্ডা পানি খেতে চায়, মেরুদন্ড থেকে মনে হয় তাপ বেরুচ্ছে, একা থাকতে ভয় পায়, হাতের তালুতে জ্বালাপোড়া ইত্যাদি, ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে ইয়েলো ফিভারে ফসফরাস প্রয়োগ করতে হবে।

পীত জ্বরের চিকিৎসা : আপনি জানেন পীত জ্বরের চিকিৎসা কি? এলোপ্যাথিতে এই রোগের ভাল চিকিৎসা নাই। না জানার কারণে অনেকেই হোমিও চিকিৎসা নিতে আসেন না। অথচ হোমিও চিকিৎসায় এই রোগ খুব সহজেই নিরাময় করা যায়। Aedes aegypti (Aedes aegypti) কামড়ের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url