দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার এর সহজ উপায়

দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার

দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার

দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে আমাদের ভালো ধারণা থাকা প্রয়োজন। একটি দেশি মুরগি বাচ্চা কালে সুস্ত-সবল থাকলে বড় হয়ে অপুষ্ট ও বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত থাকবে। তাই দেশি মুগির বাচ্চার রোগ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে এবং রোগ গুলো যেনো না হয় তার জন্য প্রতিকার সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা প্রয়োজন। নিম্নে দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

দেশি মুরগির বাচ্চার যে সকল রোগ গুলো হয় তা হলো-

  • রাণীক্ষেত
  • গামবোরো
  • ককসিডিওসিস বা রক্ত অামাশয়
  • কলেরা
  • পক্স বা বসন্ত
  • সালমোনেলোসিস
  • ভিটামিনের অভাব জনিত

দেশি মুরগির বাচ্চার এই সকল রোগ এর প্রধান লক্ষণ টি নিম্নে টেবিলে দেওয়া হলো-

 রাণীক্ষেত

 রাণীক্ষেত রোগের প্রধান লক্ষণ হলো সবুজ পাতলা পায়খানা।

 গামবোরো

 গামবোরো রোগের প্রধান লক্ষণ হলো সাদা চুনের মতো পাতলা পায়খানা।

 ককসিডিওসিস বা রক্ত অামাশয়

 ককসিডিওসিস বা রক্ত আমাশয় রোগের প্রধান লক্ষণ হলো গুড়ের মতো পাতলা পায়খানা।

 কলেরা

 কলেরা রোগের প্রধান লক্ষণ হলো সবুজ রং এর পাতলা পায়খানা ও মুরগির হাঁটু ও মাথা ফুলে যায়।

 পক্স বা বসন্ত

 পক্স বা বসন্ত রোগের প্রধান লক্ষণ হলো মুরগির মুখে ও বিভিন্ন স্থানে গুটি গুটি বের হবে।

 সালমোনেলোসিস

 সালমোনেলোসিস রোগের প্রধান লক্ষণ হলো বাচ্চা মুরগির নাভি শুকায় না এবং মলদ্বারে মল লেগে থাকে।

 ভিটামিনের অভাব জনিত

 ভিটামিনের অভাব জনিত রোগের প্রধান লক্ষণ হলো মুরগি প্যারালাইসিস হওয়া।


দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার


দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে না জানলে মুরগি চাষে লাভবান হতে পারবেন না। বাচ্চার রোগ হলে যেমন চিকিৎসা করতে হবে, তেমনি দেশি মুরগির বাচ্চার যেনো রোগ না হয়, তার জন্য প্রতিকার ব্যবস্থা সম্পর্কে জানা থাকলে, খামারে চিকিৎসা জন্য ঔষধ খরচ কম হবে, ফলে দেশি মুরগি চাষ করে লাভবান হতে পারবেন। এখন আমরা দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও দেশি মুরগির বাচ্চার রোগের প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করবো-

দেশি মুরগির বাচ্চার রোগঃ


দেশি মুরগির বাচ্চার যে সকল রোগ হতে পারে তা নিচের তালিকাতে দেওয়া হলো -

রাণীক্ষেতঃ দেশি মুরগির বাচ্চার রাণীক্ষেত রোগের লক্ষন, চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে হবে। রাণীক্ষেত রোগের টিকা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।

গামবোরোঃ দেশি মুরগির বাচ্চার গামবোরো রোগের লক্ষন, চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে হবে। গামবোরো রোগের টিকা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।

ককসিডিওসিস বা রক্ত অামাশয়ঃ দেশি মুরগির বাচ্চার রোগের লক্ষন, চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে হবে। ককসিডিওসিস বা রক্ত অামাশয় রোগের প্রতিকার সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।

কলেরাঃ দেশি মুরগির বাচ্চার কলেরা রোগের লক্ষন, চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে হবে। কলেরা রোগের টিকা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।

পক্স বা বসন্তঃ দেশি মুরগির বাচ্চার পক্স বা বসন্ত রোগের লক্ষন, চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে হবে। পক্স বা বসন্ত রোগের টিকা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।

সালমোনেলোসিস বা পুলোরামঃ দেশি মুরগির বাচ্চার সালমোনেলোসিস রোগের লক্ষন, চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে হবে। সালমোনেলোসিস রোগের প্রতিকার সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।

ভিটামিনের অভাব জনিতঃ দেশি মুরগির বাচ্চার ভিটামিন এর অভাবে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়, তাই বিভিন্ন ভিটামিন দেশি মুরগির বাচ্চা কে খাওয়াতে হবে।

দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ এর প্রতিকারঃ


দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ হওয়ার আগেই আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারলে, খামারে যেমন রোগ থেকে মুক্ত থাকবে, তেমনি ঔষধ খরচ কম হবে। নিম্নে দেশি মুরগির রোগ গুলোর প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

রাণীক্ষেত রোগের প্রতিকারঃ রাণীক্ষেত রোগটি হলো ভায়রাস জনিত রোগ। এই রোগটি খামারে বিভিন্ন মাধ্যমে আসতে পারে। বন্য পশু-পাখি দ্বারা এই রোগটি খামারে আসতে পারে। মানুষ বা যে কোনো মাধ্যমে খামারে আসতে পারে। আমাদের খামার পরিষ্কার পরিছন্ন রাখতে হবে এবং বাইরের কোনো কিছু খামারে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না, আর প্রবেশ করতে হলে জীবাণু নাশক দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

গামবোরো রোগের প্রতিকারঃ "বিরনা" নামক ভাইরাসের কারনে গামবোরো রোগ হয়। গামবোরো রোগের প্রতিকার করতে হলে খামার পরিষ্কার পরিছন্ন রাখতে হবে। বাইরের কোনো জীবাণু খামারে প্রবেশ করতে না পারে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ককসিডিওসিস বা রক্ত অামাশয় রোগের প্রতিকারঃ ককসিডিওসিস বা রক্ত আমাশয় রোগের না হওয়ার জন্য সঠিক মানের খাবার দিতে হবে। খাবার এর মান যদি ভালো না হয় তাহলে মুরগির রক্ত আমাশয় দেখা দিবে।

কলেরা রোগের প্রতিকারঃ কলেরা রোগ থেকে মুরগিকে মুক্ত রাখতে খাবার পানির ও পানির পাত্র পরিস্কার রাখতে হবে। পানি দিনে ৩ বার দিতে হবে। প্রতিদিন অনন্ত একবার পানির পাত্র পরিষ্কার করতে হবে।

পক্স বা বসন্ত রোগের প্রতিকারঃ পক্স বা বসন্ত রোগ থেকে খামারকে মুক্ত রাখতে, খামার ও খামার এর চার-পাশে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং নিয়মিত জীবাণু নাশক দিতে হবে। মুরগির বাচ্চার বয়স ৩-৫ দিনে পিজিয়ন পক্স এর টিকা দিতে হবে। এতে বাচ্চার পক্স এর হতে রক্ষা পাবে। আবার মুরগিকে ৩০ দিন বয়সে ফাউল পক্স এর টিকা প্রদান করতে হবে।

সালমোনেলোসিস রোগের প্রতিকারঃ সালমোনেলোসিস রোগে অাক্রান্ত মুরগির বাচ্চা প্রায় ৬০% মারা যায়। এ রোগ মা মুরগির থাকলে তার ডিমের বাচ্চার হয়। এছাড়া ডিম ফোটানো মেসিন অপরিষ্কার থাকলে মুরগির বাচ্চা সালমোনেলোসিস রোগে অাক্রান্ত হতে পারে, তাই ডিম ফোটানো মেসিন পরিষ্কার পরিছন্ন রাখতে হবে।

ভিটামিনের অভাব জনিত রোগের প্রতিকারঃ ভিটামিনের অভাবে মুরগির বিভিন্ন রোগে অাক্রান্ত হয়। তাই মুরগির বাচ্চাকে পরিমান মতো ভিটামিন ঔষধ দিতে হবে। খেয়াল রাখবেন, মুরগির বাচ্চাকে ভিটামিনের ঔষধ বেশি পরিমানে খাওয়ানো যাবে না।

FAQ

দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার গুলো কি কি?

দেশি মুরগির বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের রোগে অাক্রান্ত হতে পারে, তাই আমাদের এ সকল রোগ গুলোর প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা প্রয়োজন।

দেশি মুরগির বাচ্চার কি কি রোগ হয়?

দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ গুলো হলো রাণীক্ষেত, গামবোরো, ককসিডিওসিস বা রক্ত অামাশয়, কলেরা, পক্স বা বসন্ত, সালমোনেলোসিস ও ভিটামিনের অভাব জনিত।

উপসংহারঃ


সব শেষে এই কথাই বলবো, দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার এর সহজ উপায় সম্পর্কে কোনো কিছু না বুঝতে পারলে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আপনার কমেন্ট এর উত্তর খুব তাড়াতারি দেওয়ার চেষ্টা করবো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url