গরুর সর্দি কাশির চিকিৎসা ও ঔষধ - গরুর ঠান্ডা লাগলে করণীয়

গরুর সর্দি কাশির চিকিৎসা

বিভিন্ন কারণে আমাদের খামারের গরুর সর্দি, কাশি ও ঠান্ডা রোগে আক্রান্ন হতে দেখা যায়। আবহাওয়া পরিবর্তন হলো এই রোগের মূল কারণ। তবে এছাড়া বিভিন্ন কারণে হতে পারে। গরুর নাক দিয়ে পানি পড়া এই রোগের প্রথম লক্ষণ। আস্তে আস্তে সর্দি ও কাশি দেখা দেই। সামান্য চিকিৎসা দিলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সুধু মাত্র গরুর কাশির দেখা দিলে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ দিলেই যথেষ্ট। ৩ দিন দিনে ৩ বার ১০০ কেজি ওজনের জন্য ১ টি খাওয়াবেন।

এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি গরুর সর্দি কাশির ইনজেকশন ও ট্যাবলেট উভয় মাধ্যমে চিকিৎসা এবং গরুর ঠান্ডা লাগলে করণীয় গুলো কি কি? তা বিস্তারিত জানতে পারবেন।

গরুর সর্দি কাশির চিকিৎসা:


1. এন্টিবায়োটিক - যে কোনো গ্রুপের একটি এন্টিবায়োটিক দিলেই হবে। আমরা মক্সিলিন গ্রুপের মক্সিলিন ভেট ইনজেকশন বা ট্যাবলেট দিতে পারি। এই ঔষধ টি গর্ভবতী গরুকে দেওয়া যাবে। ১০০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের গরুর জন্য ২ গ্রাম মক্সিলিন ভেট ইনজেকশন দিনে ১ বার অথবা, দিনে ২ বার ২ টি করে ট্যাবলেট দিতে হবে। ৩ থেকে ৫ দিন এই এন্টিবায়োটিক দিতে হবে।

2. এন্টিহিস্টামিন - যদি ইনজেকশন প্রয়োগ করেন তাহলে এই গ্রুপের ইনজেকশন দেওয়া লাগবে। ট্যাবলেট খাওয়ালে এই গ্রুপের ঔষধ দেওয়া লাগবে না। এন্টিহিস্টামিন যে কোনো কম্পানির দিতে পারেন, যেমন রেনাসিন ইনজেকশন দিতে পারেন। এই ঔষধ টি গর্ভবতী গরুকে দেওয়া যাবে। ১০০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের গরুর জন্য ৮ মি.লি. দিনে ১ বার। ৩ থেকে ৫ দিন এই ইনজেকশন দিতে হবে।

3. ব্যাথানাশক - যদি সর্দি, কাশি ও ঠান্ডার সাথে গরুর জ্বর থাকে তহলে ব্যাথানাশক ঔষধ দিতে হবে। যেমন টফনিল ভেট ইনজেকশন বা পিকে ৫ ভেট ট্যাবলেট। এই ঔষধ টি গর্ভবতী গরুকে দেওয়া যাবে। ১০০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের গরুর জন্য ১০ মি.লি. টাফনিল ভেট ইনজেকশন দিনে ১ বার অথবা, পিকে ৫ ভেট দিনে ২ বার ২ টি করে ট্যাবলেট দিতে হবে। ৩ থেকে ৫ দিন এই ঔষধ দিতে হবে।

4. প্যারাসিটামল ট্যাবলেট - ১০০ কেজি ওজনের গরুর জন্য দিনে ৩ বার ২ টি করে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়াবেন।

এই সকল ইনজেকশন বা ট্যাবলেট গুলো ব্যাবহার করলে আপনার গরুর সর্দি, কাশি, ঠান্ডা ও জ্বর ভালো হয়ে যাবে। এখন আমরা গরুর ঠান্ডা লাগলে যে সকল করণীয় গুলো আছে তা দেখবো।

গরুর ঠান্ডা লাগলে করণীয়:

1. গরুর ঠান্ডা লাগলে প্রথম করণীয় হলো গরুর শরীরে কিছু একটা দিয়ে দিতে হবে।
2. গরুটি যেখানে থাকবে সেখানে বাতাশ বয়ে যাওয়া বন্ধ করতে হবে।
3. গরুর খামারে ফ্যান বন্ধ করতে হবে।
4. শীত কালে হলে রোদে রাখতে হবে।
5. গরম কালে হলে ছায়া স্থানে রাখতে হবে।
6. যত তারাতারি সম্ভব গরুকে সঠিক চিকিৎসা দিতে হবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url